,

নবীগঞ্জে বাদাম বিক্রি করে লেখা-পড়া করছে মোস্তাক

অভাব থামাতে পারেনি প্রতিভাকে

মোঃ সুমন আলী খান ॥ মাদরাসায় দাখেল সপ্তম শ্রেণীতে লেখা-পড়া করে শাহ মোস্তাক আলী (১৪)। লেখা-পড়া করার আগ্রহ তার খুবই বেশী। পরিবারের অভাব-অনটন তাকে বাঁধাগ্রস্থ করলে ও সে কিছুতেই পিছপা হয়নি। বরং কোঁমর বেঁধে লেখা-পড়ার পাশা-পাশি ছোট পলিথিনের প্যাকেটে দুরপাল্লার গাড়ির যাত্রীদের কাছে বাদাম বিক্রি করছে। এতে প্রতিদিন ৭০/৮০ প্যাকেট বাদাম বিক্রি করে ২/৩ শত টাকা আয় করছে। সে হল নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের ভানুদেব গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের  শায়েস্তা মিয়ার পুত্র শাহ মোস্তাক আলী। তার সাথে গতকাল শনিবার বিকেলে এ প্রতিনিধির হঠাৎ দেখা হয় ঐ উপজেলা দিয়ে বয়ে যাওয়া ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আউশকান্দিস্থ মেহমানবাড়ি রেষ্টুরেন্টের সামনে। অল্প বয়সের এই বালক প্রতিনিধির মন কাড়ে। তিনি সাংবাদিক পেশা গোপন রেখে তার কাছ থেকে জানতে চান, তার পারিবারিক অবস্থা। এক পর্যায়ে সে পারিবারিক অবস্থা খুলে বলে। এ বছর মোস্তাক স্থানীয় একটি মাদরাসায় দাখিল সপ্তম শ্রেনীতে লেখা-পড়া করছে বলে জানায়। লেখা-পড়ার পাশা-পাশি সে পরিচিত দোকানদারের কাছ থেকে পাইকারী দরে বাদাম ক্রয় করে তাহা ছোট পলিথিনে প্যাকেটজাত করে। ওই সড়কের রুস্তমপুর টোলপ্লাজা, আউশকান্দি গোল চত্তর, শেরপুর বাজারসহ কয়েকটি বাজারে দূরপাল্লার গাড়ির যাত্রীর কাছে সে বাদাম বিক্রি করে আসছে। প্রতি প্যাকেট বাদাম বিক্রি করছে ১০ টাকা। এতে প্রতি প্যাকেটে সে আয় করে ৩/৪ টাকা। সব মিলিয়ে সে প্রতিদিন ২/৩ শত টাকা আয় করতে পারে। তার আয়ের অংশ দিয়ে একদিকে পরিবারের ছয় সদস্যদের ভরন-পোষন চালাচ্ছে। অপরদিকে সে লেখা-পড়া চালিয়ে যাচ্ছে। সে আরো জানায়, লেখা-পড়া করে সে শিক্ষক হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর